সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি কুষ্টিয়ার ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে সংগ্রাম করতে করতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছি। সংগ্রাম কখনো বিফলে যায় না। সুতরাং উপরে উঠতে গেলে সংগ্রাম করতে হবে।
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় যোগদেন তিনি।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাদির সভাপতিত্বে এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোহম্মদ সাইফুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিচারক সংকটের কারনে মামলার জট কমানো যাচ্ছে না। অনেক কম সংখ্যাক বিচারক দিয়েই মামলা চালাতে হচ্ছে। আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে মধ্যে মামলার জট কমে আসবে। সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায়না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করতে না পারলে, ত্রিশ লক্ষ শহীদের সাথে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্যদেশে কাজ করতে যেতে হবেনা। অবসর সময়ে তিনি কিভাবে ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন সে বিষয়ে একটি বই লিখবেন বলেও জানান।
এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বেলা ১১টার সময় সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বরে নির্মানাধীন ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply